অনলাইন জুয়া চার মাসে চার কোটি টাকা পাচার করেছে চক্রটি

অনলাইন জুয়ার সাইট পরিচালনাকারী তিন বাংলাদেশি এজেন্টকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সাইবার ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড রিস্ক ম্যানেজমেন্ট ইউনিট। তারা হলেন- আবু বক্কর সিদ্দিক (৩০), আব্দুল্লাহ আল আউয়াল (২৬) ও মো. তোরাফ হোসেন (৩৭)।

 

সিআইডি জানায়, জুয়ার ওয়েবসাইটটি রাশিয়া থেকে পরিচালিত হতো। এই সাইট দেশের গ্রামাঞ্চল পর্যন্ত অল্পশিক্ষিত থেকে শুরু করে অর্ধশিক্ষিত পর্যন্ত মানুষ খেলছেন। গত চার মাসে চক্রটি দেশ থেকে চার কোটি টাকা পাচার করেছে।

;p;;

বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মালিবাগ সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সিআইডির সাইবার ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড রিস্ক ম্যানেজমেন্ট ইউনিটের বিশেষ পুলিশ সুপার মো. রেজাউল মাসুদ।

 

তিনি বলেন, সাইবার পুলিশ সেন্টারের নিয়মিত মনিটরিংকালে betwinner.com নামক বেটিং সাইটটি নজরে আসে। যেখানে অনলাইনে বেটিং করা হয় বা জুয়া খেলা হয়। এ বিষয়ে সিআইডি প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়ার সার্বিক তত্ত্বাবধানে সিআইডির সাইবার ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড রিস্ক ম্যানেজমেন্ট শাখা ছায়া তদন্ত শুরু করে। তদন্ত শেষে সাইটটি পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত তিনজনকে শনাক্ত করে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

অনলাইন জুয়ার সাইট যেভাবে পরিচালিত হয়

একজন জুয়াড়ি মোবাইল নম্বর/ইমেইলের মাধ্যমে এই বেটিং সাইটে বা অ্যাপসে অ্যাকাউন্ট ওপেন করেন। অ্যাকাউন্টের বিপরীতে একটি ই-ওয়ালেট তৈরি হয় যাকে জুয়াড়িরা ইউএসডিটি বলে। শুরুতে এর ব্যালান্স শূন্য থাকে। ওয়ালেটে ব্যালান্স যোগ করার জন্য অনেক মাধ্যম রয়েছে যার ভেতর বিকাশ, নগদ, রকেট, উপায় এবং ট্রাস্ট এজিয়াটা অন্যতম। এগুলোর যে কোনো একটি বেছে নিলে সেখানে একটি এজেন্ট নম্বর দেখায় যেখানে ন্যূনতম ৫০০ টাকা দিলে কিছুক্ষণের মধ্যে ই-ওয়ালেট বা ইউএসডিটি ব্যালান্স যুক্ত হয়ে যায়। এ টাকা/ব্যালান্স দিয়ে তিনি পরবর্তীতে জুয়া খেলতে পারেন।

lll

বেটিং করে বা জুয়া খেলে দেশ থেকে চার মাসে চার কোটি টাকা পাচার

বিশেষ পুলিশ সুপার মো. রেজাউল মাসুদ বলেন, মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের এজেন্টরা জমাকৃত টাকা তুলে ওই টাকা বাইন্যান্স নামক মানি এক্সচেঞ্জ অ্যাপের মাধ্যমে মার্কিন ডলারে কনভার্ট করেন। পরে বাইন্যান্সের মাধ্যমে এই টাকা বিভিন্ন দেশে পাচার হয়। গ্রেফতার এই তিনজন গত চার মাসে বাংলাদেশ থেকে চার কোটি টাকা পাচার করেছে।

 

গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে ছয়টি মোবাইল ফোন, চারটি এজেন্ট সিম, দুটি মার্চেন্ট সিম, নগদের একটি ডিএসও সিম, দুটি পার্সোনাল সিমসহ মোট ১২টি সিম ও একটি ল্যাপটপ জব্দ করা হয়। সূএ: জাগোনিউজ২৪.কম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» ভারত কখনো বাংলাদেশের উন্নয়ন সহ্য করে না: এটিএম আজহার

» বিভিন্ন অপরাধে জড়িত মোট ৫ জন গ্রেফতার

» বাবা হিন্দু, স্বামী মুসলিম, কারিনা কোন ধর্মের?

» টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের আসন্ন চক্রে পাঁচে থাকার ইচ্ছা বাংলাদেশের

» লন্ডনের বৈঠক গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিয়ে যেতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে : রিজভী

» আল্লাহ আছেন, সবাইকে একদিন জবাব দিতে হবে: আসিফ নজরুল

» ছয় অঞ্চলে ঝড়ের আভাস

» ‘তাণ্ডব’ ও ‘ইনসাফ’-এর সিকুয়্যাল আসছে

» ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে বিক্ষোভ

» যানবাহনের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

অনলাইন জুয়া চার মাসে চার কোটি টাকা পাচার করেছে চক্রটি

অনলাইন জুয়ার সাইট পরিচালনাকারী তিন বাংলাদেশি এজেন্টকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সাইবার ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড রিস্ক ম্যানেজমেন্ট ইউনিট। তারা হলেন- আবু বক্কর সিদ্দিক (৩০), আব্দুল্লাহ আল আউয়াল (২৬) ও মো. তোরাফ হোসেন (৩৭)।

 

সিআইডি জানায়, জুয়ার ওয়েবসাইটটি রাশিয়া থেকে পরিচালিত হতো। এই সাইট দেশের গ্রামাঞ্চল পর্যন্ত অল্পশিক্ষিত থেকে শুরু করে অর্ধশিক্ষিত পর্যন্ত মানুষ খেলছেন। গত চার মাসে চক্রটি দেশ থেকে চার কোটি টাকা পাচার করেছে।

;p;;

বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মালিবাগ সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সিআইডির সাইবার ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড রিস্ক ম্যানেজমেন্ট ইউনিটের বিশেষ পুলিশ সুপার মো. রেজাউল মাসুদ।

 

তিনি বলেন, সাইবার পুলিশ সেন্টারের নিয়মিত মনিটরিংকালে betwinner.com নামক বেটিং সাইটটি নজরে আসে। যেখানে অনলাইনে বেটিং করা হয় বা জুয়া খেলা হয়। এ বিষয়ে সিআইডি প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়ার সার্বিক তত্ত্বাবধানে সিআইডির সাইবার ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড রিস্ক ম্যানেজমেন্ট শাখা ছায়া তদন্ত শুরু করে। তদন্ত শেষে সাইটটি পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত তিনজনকে শনাক্ত করে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

অনলাইন জুয়ার সাইট যেভাবে পরিচালিত হয়

একজন জুয়াড়ি মোবাইল নম্বর/ইমেইলের মাধ্যমে এই বেটিং সাইটে বা অ্যাপসে অ্যাকাউন্ট ওপেন করেন। অ্যাকাউন্টের বিপরীতে একটি ই-ওয়ালেট তৈরি হয় যাকে জুয়াড়িরা ইউএসডিটি বলে। শুরুতে এর ব্যালান্স শূন্য থাকে। ওয়ালেটে ব্যালান্স যোগ করার জন্য অনেক মাধ্যম রয়েছে যার ভেতর বিকাশ, নগদ, রকেট, উপায় এবং ট্রাস্ট এজিয়াটা অন্যতম। এগুলোর যে কোনো একটি বেছে নিলে সেখানে একটি এজেন্ট নম্বর দেখায় যেখানে ন্যূনতম ৫০০ টাকা দিলে কিছুক্ষণের মধ্যে ই-ওয়ালেট বা ইউএসডিটি ব্যালান্স যুক্ত হয়ে যায়। এ টাকা/ব্যালান্স দিয়ে তিনি পরবর্তীতে জুয়া খেলতে পারেন।

lll

বেটিং করে বা জুয়া খেলে দেশ থেকে চার মাসে চার কোটি টাকা পাচার

বিশেষ পুলিশ সুপার মো. রেজাউল মাসুদ বলেন, মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের এজেন্টরা জমাকৃত টাকা তুলে ওই টাকা বাইন্যান্স নামক মানি এক্সচেঞ্জ অ্যাপের মাধ্যমে মার্কিন ডলারে কনভার্ট করেন। পরে বাইন্যান্সের মাধ্যমে এই টাকা বিভিন্ন দেশে পাচার হয়। গ্রেফতার এই তিনজন গত চার মাসে বাংলাদেশ থেকে চার কোটি টাকা পাচার করেছে।

 

গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে ছয়টি মোবাইল ফোন, চারটি এজেন্ট সিম, দুটি মার্চেন্ট সিম, নগদের একটি ডিএসও সিম, দুটি পার্সোনাল সিমসহ মোট ১২টি সিম ও একটি ল্যাপটপ জব্দ করা হয়। সূএ: জাগোনিউজ২৪.কম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com